শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন

মণিপুরে এবার জ্বালিয়ে দেয়া হলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি!

মণিপুরে এবার জ্বালিয়ে দেয়া হলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি!

স্বদেশ ডেস্ক:

ভারতের মণিপুরের সহিংসতা থামছেই না। বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দিলো উত্তেজিত জনতা।

কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। প্রায় এক হাজার মানুষ মিলে মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। তবে এ হামলার সময় মন্ত্রী নিজের বাড়িতে ছিলেন না। তিনি নিরাপদ স্থানেই আছেন।

এর আগে মে মাসেও মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তবে এবার তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুরো ভস্মীভূত করে দেয়া হলো।

সহিংসতা বন্ধ করতে ইম্ফলে কারফিউ জারি করা হলেও সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ওই মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সেই সময় ইম্ফলের কোংবায় অবস্থিত সেই বাড়িতে মোতায়েন ছিল ৯ জন এসকর্ট, ৫ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং ৮ জন অতিরিক্ত রক্ষী। তবে এত সংখ্যক উত্তেজিত জনতাকে থামানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।

কর্তব্যরত এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, দুষ্কৃতকারীরা মন্ত্রীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে। এসকর্ট কমান্ডর দীনেশ্বর সিং বলেন, ‘তারা চতুর্দিক দিয়ে হামলা করছিল। প্রায় ১২০০ লোক হামলা চালায়। এত সংখ্যক লোককে আমরা ঠেকাতে পারিনি। পরিস্থিতি তাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা মুড়িমুড়কির মতো পেট্রোল বোমা ছুড়ছিল।’

গত ৩ মে থেকে জাতিগত সহিংসতা চলছে মণিপুরে। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং ও কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, কুকি ‘উগ্রবাদীরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।

উল্লেখ্য, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মেইতেই জনগোষ্ঠী। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই পরিস্থিতিতে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়।

এদিকে, তফসিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি ও সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই অবস্থায় গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মেইতেইদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877